Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড)
স্থান

কুমিল্লা শহর হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে সদর দক্ষিণ উপজেলার কুমিল্লা কোটবাড়ী এলাকায় অবস্থিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

কুমিল্লা শহর হতে সিএনজি যোগে যাওয়া যায়।

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড)  পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীনস্থ একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন স্বায়ত্ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান। বার্ড VAID (Village Agricultural & Industrial Development) প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের গ্রামে অবহেলিত মানুষের সমস্যা সহ গ্রামের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য ১৯৫৯ সালের ২৭ মে পাকিস্তান গ্রাম উন্নয়ন একাডেমী নামে আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীনতা উত্তর এর নামকরন হয় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বার্ড। সাবেক আই সি এস অফিসার, প্রখ্যাত দার্শনিক ও সমাজ বিজ্ঞানী ড. আখতার হামিদ খাঁন এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। বার্ড কর্তৃক উদ্ভাবিত পল্লী উন্নয়নের “কুমিল্লা মডেল ”এর অন্তর্গত দ্বিস্তর সমবায়, থানা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কেন্দ্র, পল্লী পূর্ত কর্মসূচী ও থানা সেচ কর্মসূচী এ চারটি বিষয়কে কেন্দ্র করে  দক্ষিণ এশিয়া সহ তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টা চলছে।

   পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, গবেষনা ও প্রায়োগিক গবেষনার মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন তথা পল্লী দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করা এর প্রধান কাজ। পল্লী অঞ্চলের আর্থ সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করণ, নীতি নির্ধারণে পরামর্শ প্রদান ও মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ণই বার্ডের প্রধান লক্ষ্য। সার্বিক পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্যে বার্ডের পাঁচটি একাডেমিক বিভাগ ( পল্লী প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার, পল্লী অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, পল্লীশিক্ষা ও সমাজ উন্নয়ণ, পল্লী সমাজতন্ত্র ও জনমিতি, কৃষি ও পরিবেশ) এবং  চারটি সার্ভিস বিভাগ ( প্রশিক্ষণ, গবেষণা, প্রকল্প ও প্রশাসন ) রয়েছে। একাডেমীর কার্যক্রম ২১ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

    কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ী নামক স্থানে বার্ডের অবস্থান। ১৫৬ একরের এই একাডেমীতে রয়েছে পাঁচটি হোস্টেল, চারটি কনফারেন্স কক্ষ, একটি মসজিদ, একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, হেলথ ক্লিনিক, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, দু’টি ক্যাফেটেরিয়া ও একটি প্রাইমারী স্কুল। স্বায়ত্ত্বশাসিত এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী ব্যক্তিবর্গের জন্য ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা ও গ্রামীণ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।