Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
আজ নওয়াব ফয়জুন্নেছার ১১১তম মৃত্যু বার্ষিকী
বিস্তারিত

আজ মঙ্গলবার ভারত উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নওয়াব নারী জাগরণের অগ্রদূত মহিয়সী নারী নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর ১১১তম মৃত্যু বার্ষিকী। ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন দিনব্যাপি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে র‌্যালি শুরু হয়ে বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তন পর্যন্ত পৌঁছা, সাড়ে ১০টায় বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তনে নবাব ফয়জুন্নেছার জীবন ও কর্মের উপর দিনব্যাপি চিত্র প্রদর্শনী, বিকাল ৫টায় বীরচন্দ্রনগর মিলনায়তনে আলোচনা এবং রচনা, কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় জেলা প্রশাসন প্রকাশিত ‘নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর জীবনী’ বই এর মোড়ক উন্মোচন, সাড়ে ৬টায় একই মিলনায়তনে নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর জীবনীর উপর নির্মিত টেলিফিল্ম প্রদর্শন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: আলী আশরাফ ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইন্দুভূষণ ভৌমিক। সভাপতিত্ব করবেন জেলা প্রশাসক মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল। দিবসটি উপল্েয লাকসাম উপজেলা প্রশাসনের প থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকালে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত, শোভাযাত্রা। বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া, নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা ও বদরুন্নেছা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে পৃথক ভাবে এই মহিয়সী নারীর কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়া এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. ফখরুল লতিফ এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা ও বদরুন্নেছা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক মো. মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী লাকসামের পশ্চিমগাঁও জমিদার পরিবারে গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ছিল জমিদার আহম্মদ আলী চৌধুরী। মাতার নাম আরফান্নেছা চৌধুরী। বাবা-মা তাঁকে আদর করে ’ফয়জুন’ নামে ডাকতেন। ফয়জুন’র বয়স যখন ১০ বছর তখন তাঁর বাবা মারা যান। ছোট বেলায়ই পিতৃহারা হলেন জমিদার তনয়া ফয়জুন। এটি ছিল তাঁর জীবনে প্রথম প্রচন্ড হোঁচট। মায়ের সাথে চলছিল ফয়জুন্নেছার জীবন। কিছুকাল পর ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মাতৃবিয়োগ হলে ফয়জুন্নেছা পিতার জমিদারির দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। অসাধারণ দৃঢ়চেতা এই নারী স্বামী বিচ্ছেদের দুঃখকেও শক্তিতে পরিণত করে নিজকে নিষ্ঠাবান সমাজসেবক প্রজা রঞ্জক জমিদার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। শিক্ষা বিস্তারে ফয়জুন্নেছা তাঁর জমিদারির অন্তর্গত ১৪টি মৌজায় ১৪টি প্রাথমিক মক্তব (বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়) স্থাপন করেন। এ ছাড়া, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, মুসাফিরখানা, হাসপাতাল, পুকুর-দীঘি খননসহ নানাহ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। জমিদারি পরিচালনাসহ নানাহ ব্যস্ততার মাঝেও তিনি অসাধারণ সাহিত্যচর্চা করতেন। তাঁর কাব্য সাধনার অমর সৃষ্টি ”রূপজালাল” কাব্যগ্রন্থ। পশ্চিমগাঁও নিজ বাড়ির পাশে তাঁরই নির্মিত দশ গম্বুজ মসজিদের পাশে এই মহিয়সী নারী চির নিদ্রায় শায়িত রয়েছেন।

সৌজন্যেঃকুমিল্লার কাগজ(পত্রিকা)

ছবি
ডাউনলোড