ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লার পর্যটন শিল্পে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দিক নির্দেশনা পেলে কুমিল্লা কোটবাড়ী ও ময়নামতি জাদুঘর এলাকা হয়ে ওঠতে পারে নান্দনিক পর্যটন এলাকা। সবুজ পাহাড়ের সাথে প্রকৃতির যেন এক অপূর্ব মিশেল কোটবাড়ী। গতকাল ৮ জুলাই শুক্রবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ময়নামতি জাদুঘর ও কোটবাড়ী এলাকা পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কোটবাড়ী ময়নামতি জাদুঘর দেখার মত ঐতিহাসিক বহু নিদর্শন রয়েছে। পর্যটকদের জন্য এই নিদর্শনগুলো দেখার জন্য আরো আধুনিক সহজতর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সরকারি পৃষ্পপোষকতা পাওয়া গেলে পর্যটন এলাকা হিসেবে এই জায়গা আরো উন্নত হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জেলা প্রশাসন থেকে বলা হবে। স্থানীয় সাংসদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অপার সম্ভাবনাময় কোটবাড়ী দেশের অন্যান্য পর্যটন এলাকার চেয়ে উপভোগ্য হবে। তিনি কোটবাড়ী এলাকা ব্যক্তিগতভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন রিসোর্ট ঘুরে দেখেন। জেলা প্রশাসক বলেন, যদি সরকারিভাবে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যেত তাহলে দর্শনার্থীরা উপকৃত হত। পর্যটন এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত বেঞ্চ প্রয়োজন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কোটবাড়ী ও ময়নামতি এলাকার পর্যটন শিল্প বিকাশে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হবে। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন সদর দক্ষিণ উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ, ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান আহমেদ আবদুল্লাহ, সহকারি কাস্টোডিয়ান আইরিন পারভীন, ব্লু ওয়াটার পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ। পরে জেলা প্রশাসক সদর দক্ষিণ উপজেলার আদিনামুড়া এলাকায় লালমাই পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত হযরত ওয়ায়েছ করনী (রহঃ) এর আস্তানায়ে শাহ কামাল ইয়্যামনী (রহঃ) এর মাজার শরীফ জিয়ারত করেন
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS