Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বায়তুল আজগর জামে মসজিদ
স্থান

গুনাইঘর (উত্তর) ইউনিয়ন, দেবিদ্বার, কুমিল্লা। 'গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদটি কুমিল্লা জেলা সদর থেকে উত্তর-পশ্চিম কোনে দেবিদ্বার পৌর এলাকায় এবং দেবিদ্বার সদর থেকে দু'কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণে গুনাইঘর গ্রামে অবস্থিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

দেবিদ্বার বাসস্ট্যান্ড থেকে রিক্সা বা সিএনজি যোগে যাওয়া যায়।

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

দেবীদ্বারের ঐতিহ্য 'গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ' এটি নির্মাণশৈলির দিক থেকে দেশের বিখ্যাত মসজিদগুলোর অন্যতম মসজিদ হিসাবে দাবী করা হচ্ছে। 'গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ'টি কুমিল্লা জেলা সদর থেকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে উত্তর-পশ্চিম কোনে দেবীদ্বার পৌর এলাকায় এবং দেবীদ্বার সদর থেকে দু'কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণে গুনাইঘর গ্রামে অবস্থিত।

 

নতুন এবং পুরাতন নির্মাণ পদ্ধতির সংমিশ্রণে অসংখ্য ক্যালিওগ্রাফিতে আঁকা ব্যাতিক্রমধর্মী নির্মাণ শৈলির সাত গম্বুজ মসজিদটি দেশব্যপী দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ক্যালিওগ্রাফি ও নির্মাণ কৌশল। মসজিদের চার কোনায় চারটি মিনার রয়েছে। চার মিনারের কোন মসজিদ বাংলাদেশে এটাই প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে। মিনারগুলোর উচ্চতা ৮০ফুট। এতে গম্বুজ রয়েছে ৭টি। মসজিদটি ৪৮ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৬ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট। এ মসজিদের মূল অংশে শতাধিক মুসুল্লি নামাজ পড়তে পারেন। এ ছাড়া মসজিদটির বারান্দায় অর্থাৎ সামনের টাইলস করা খালী জায়গায় মূল অংশের দ্বিগুণ মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের উপরে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে বিভিন্ন রং'র বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদে লিখা 'আল্লাহু' শব্দটি রাতের অন্ধকারে তারকার মতো জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকে। অনেক দূর থেকে এ আলো দেখা যায়। মসজিদটি'র পশ্চিম পার্শ্বে দৃষ্টি নন্দিত একটি ফল ও ফুলের বাগান আছে। এছাড়াও রয়েছে বিশাল আকৃতির জলধার। এর পাড়সহ চার দিক শ্বেত পাথরে মোড়ানো।

ক্যালিওগ্রাফির দিকে নজর দিলে অবাক হতে হয়। এখানে বাংলা ও আরবিতে ক্যালিওগ্রাফি করা হয়েছে। কারুকাজ ও নকসা শিল্পী হিসাবে কাজ করেছেন শিল্পী আরিফুর রহমান। মসজিদটির স্থপতি ছিলেন শাহিন মালিক। আরবি অক্ষরে সুন্দর করে লিখা হয়েছে 'সুরা আর রহমান', 'আয়তুল কুরছি' ও 'চার কূল'। মসজিদের ভেতরের মূল অংশে ৫টি গম্বুজ আছে। একটিতে লিখা আয়তুল কুরসী। অন্য চারটি গম্বুজের ভেতরে লিখা ৪টি কূল। মসজিদটির বাহিরের আবরনে বহু চাঁদ তারা আঁকা রয়েছে। মসজিদটিতে ইট, সিমেন্ট, বালির পাশাপাশি চিনামাটি ও টাইলস ব্যবহৃত হয়েছে। কারুকার্য করা হয়েছে মোঘল তুর্কী ও পারস্যের সংমিশ্রণে। এখানে ৩ শত ৫০ মন চিনামাটির টুকরো ও দু'শতটি গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদটিতে ৬টি এসি ও একটি ঝারবাতি আছে। একটি আধুনিক মসজিদে যা কিছু থাকার কথা সবই আছে।